খোকসা প্রতিনিধিঃ পৈত্রিক সম্পত্তি ও ক্রয়কৃত জমি জবর দখলের মহোৎসব। বাধা দিলেই প্রাণনাশের হুমকি। দিনের বেলায় পলাতক রাতের বেলায় বাঘের মতো গর্জে উঠে। এমন ঘটনা ঘটছে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের জাগলবা গ্রামে।মৃত আজমত আলীর ছেলে আলম ও কালাম আলীর শেখ জোরপূর্বক আয়তাল শেখের জমির উপরে পাকা ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল ১২ জানুয়ারি বুধবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাকা রাস্তার পাশে মিস্ত্রি ঘর নির্মাণ করছেন।ঘর নির্মাণের কথা জানতে চাইলে রাজ মিস্ত্রি বলেন আমরা আলম আলী শেখের কাজ করছি।সে সময় ক্রয়কৃত জমির মালিক আয়তাল শেখ বলেন,আপন ভাই ও চাচাতো ভাই ভাতিজা সহ ১০জন মিলে পৈত্রিক সম্পত্তি এবং ক্রয়কৃত জমি ১১ বছর ধরে ৯ শতক জায়গা দখল করে রয়েছে।
বর্তমানে জমির উপর গেলে আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে, এ বিষয়ে একাধিকবার স্থানীয় মক্কেল মাতব্বর গণে শালিশ মীমাংসায় সীমানা নির্ধারণ করে দিলে ওটা মানতে নারাজ। পরবর্তীতে সন্ত্রাসী কায়দায় আমাকে মারধরসহ বিভিন্ন হেনস্তা করে পুনরায় জমি গুলো আবার জবর দখল করে রেখেছে।
এমন ঘটনায় ২০১৮ সালে খোকসা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। শুধু এখানেই থেমে নেই ভাই ভাবিদের অত্যাচারে বসবাস করা অযোগ্য হয়ে দাঁড়িয়ে।বর্তমানে চাচাতো ভাই নিয়ামত ও আতাহারের পরিবারের অত্যাচারে অতিষ্ট তাদের কারনে আমার বিল্ডিংয়ে ভাঙ্গন সৃষ্টি সহ দুইপাশে ডাস্টবিন বানিয়ে রেখেছে।
আমি সৌদিআরব থাকা অবস্থায় আমার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস উর্মির উপর তারা নির্যাতন চালায়। এ সকল কারণে আমার স্ত্রী আমাকে ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়। এই সুযোগের সদ্ব্যবহারে আমার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস উর্মি ৮০ লক্ষ নগত টাকা ও ২০শতক জমি নিয়ে আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে। তবে এ ঘটনায় দখলদার আলম শেখ বলেন, আমার ফুফুর জমি আয়তাল ক্রয় করেছে। তবে জমি সে পাবে,তবে এই জমির পরিবর্তে আমি তাকে জমি দিব বলে একপর্যায়ে রাজি হয়েছে।
এ বিষয়ে খোকসা থানা অফিসার ইনচার্জ শেখ মঈনুল ইসলামের মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন এখন পর্যন্ত জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।