আলোচিত ‘সিরিয়াল কিলার’ রসু খাঁকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে রায় দিয়েছেন আদালত। ১১ নারীকে হত্যা করার কথা নিজেই স্বীকার করেছিলেন রসু খাঁ। তাঁর পরিকল্পনা ছিল ১০১ নারীকে হত্যা করা।
আজ মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় এই রায় ঘোষণা করেন চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক আবদুল মান্নান।
রসু খাঁয়ের সঙ্গে আরো দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অন্য দুই আসামি হলেন জহিরুল ইসলাম (৩৫) ও ইউনুছ (৪২)। ইউনুছ বর্তমানে পলাতক।
মামলায় সরকার পক্ষের আইনজীবী হিসেবে ছিলেন, হাবিবুল ইসলাম তালুকদার ও জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া।
বর্তমানে রসু খাঁ চাঁদপুর জেলা কারাগারে আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ৯টি মামলা দায়ের করা হয়। এর আগে অপর একটি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় দেওয়া হয়। চট্টগ্রামে আরেক মামলায় খালাস পান রসু খাঁ।
২০০৯ সালের ৭ অক্টোবর পুলিশের হাতে ধরা পড়েন রসু খাঁ। এরপর এক এক করে তাঁর লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বেরিয়ে আসে। নিজের মুখেই রসু খাঁ স্বীকার করেন ১১ নারী হত্যার কথা। ১০১ জন নারীকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল তাঁর।
রসুর হাতে খুন হওয়া ১০ নারী ছিলেন পোশাককর্মী। আরেক নারী ভিক্ষা করতেন। ২০০৯ সালে পারভীন নামে ওই নারীর লাশ পাওয়া যায় চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের একটি খালে। পারভীন ছিল ওই এলাকার পালতালুক গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২১ জুলাই ফরিদগঞ্জের মধ্য হাঁসা গ্রামের পূর্ব পাশের খালের দক্ষিণ পাড়ে পারভীনকে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখে রসু খাঁসহ অন্য দুই আসামি। হত্যার পরে রসু খাঁ লেবু মিয়া পরিচয়ে পুলিশে ফোন করে বলে যে, একজন নারীকে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখা হয়েছে।
মামলার তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মীর কাশেম অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ১৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া শেষে আজ বিচারক এ রায় দেন।