চট্টগ্রামের চান্দঁগাওয়ে মা ও ছেলেকে নৃশংসভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা

0

চট্টগ্রামের চান্দঁগাওয়ে মা ও ছেলেকে নৃশংসভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার (২৪ আগস্ট) রাতে পুলিশ বাসা থেকে দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করে। হত্যাকাণ্ডের মোটিভ জানতে না পারলেও জড়িত সন্দেহে ফারুক নামে এক যুবককে খুঁজছে পুলিশ। ভারতীয় টিভি সিরিয়াল সিআইডির মতো পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে লাশ গুমের হুমকি দিয়েছিলো ফারুক।

পুলিশ জানায়, গুলনাহারের মেয়ে ময়ুরী আক্তার গামেন্টস থেকে ফিরে বাসার দরজা বন্ধ দেখতে পায়। পরে বাসায় ঢুকে প্রথমে বেসিনের উপর ভাই রিফাত এবং বাথরুমে মা’র লাশ পড়ে থাকতে দেখে। দু’জনের শরীর ছিলো ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ক্ষত বিক্ষত। পরে চান্দগাঁও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত দু’জন হলেন গুলনাহার বেগম এবং তার ৯ বছর বয়সী ছেলে রিফাত।

ময়ুরী আক্তারের দাবি, স্বামী পরিত্যক্তা গুলনাহার বেগম বাসায় রান্না করে বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করতেন। আর তার কাজে সহযোগিতা করতো ফারুক নামের যুবক। টাকাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গত কয়েকদিন আগে ফারুকের সাথে গুলনাহার বেগমের ঝগড়া হয়। এমনকি ভারতীয় টিভি সিরিয়াল সিআইডির অনুকরণে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দিয়েছিলো ফারুক।

চট্টগ্রাম সিআইডি’র পরিদর্শক ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, ফারুক আগেই খুন করার খুন করার হুমকি দিয়েছিল। মেয়ে আমাদেরকে বলেছে। এটা ধারা বুঝা যাচ্ছে যে, এটা একটা পরিকল্পিত মার্ডার হয়েছে। তবে পুলিশ এখনো হত্যাকাণ্ডের মোটিভ উদঘাটন করতে পারেনি। ঘটনার পর থেকে ফারুক পলাতক রয়েছে। এমনকি গুলনাহারের মোবাইল ফোনটিও পাওয়া যাচ্ছেনা। দিনের কোনো এক সময় দু’জনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করেছে বলে ধারণা পুলিশের।

সিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোস্তাক আহমেদ বলেন, একজন হচ্ছে মা আরেক জন হচ্ছে ছেলে। ছেলে এবং মা দুজনের গলাই ক্ষত আছে। আমাদের মনে হচ্ছে এটা একটা হত্যাকাণ্ড। তদন্তের স্বার্থে অন্য কিছু বলতে পারছি না।রাতেই ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অবশ্য তার আগে আলামত সংগ্রহ করেছে সিআইডি।সংগৃহীত

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.