রায়ের কপি পাওয়ার জন্য যেন বিচারপ্রার্থীদের আদালতের বারান্দায় ঘোরাঘুরি করতে না হয়-রাষ্ট্রপতি

0

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বিচারকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, মামলার রায়ের পর বিচারপ্রার্থীদের যাতে আদালতের বারান্দায় ঘুরতে না হয়, সেদিকে নজর দিতে।

শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দেয়া ভিডিও বার্তায় তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার, অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে স্মারক গ্রন্থের ডিজিটাল সংস্করণ উন্মোচন করা হয়। এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসের ওপর একটি তথ্যচিত্র দেখানো হয়।

ভিডিও বার্তায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে এবং বিচারকদের পেশাগত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। কিন্তু বিচারকদের খেয়াল রাখতে হবে, মামলার রায় হওয়ার পর রায়ের কপি পাওয়ার জন্য বিচারপ্রার্থীদের যেন আদালতের বারান্দায় দিনের পর দিন ঘোরাঘুরি করতে না হয়।

করোনার সময় ভার্চুয়ালি দেশের আদালত যেভাবে শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরেকে বিচার কাজ সফলভাবে চালিয়ে গেছে- তার ভূয়শী প্রশংসা করেন রাষ্ট্রপতি। সুপ্রিম কোর্টের সব কার্যক্রম ডিজিটালি সংরক্ষণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিচার কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে আদালত প্রাঙ্গণে শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরেকে বিচারপ্রার্থী জনগণের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। এ জন্য আমি এ কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

আবদুল হামিদ বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে ‘সব নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী’।তাই মনে রাখতে হবে, একজন বিচারপ্রার্থীর ন্যায়বিচার পাওয়া তার অধিকার। আর নাগরিকের সে অধিকার নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। এখানে দয়া বা অনুকূল্যের কোনো বিষয় নেই।

রাষ্ট্রপতি বলেন, উন্নয়নের সঙ্গে ন্যায়বিচার ও আইন-আদালতের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। মনে রাখতে হবে, বিরোধের মীমাংসা যথাযথভাবে না হলে আস্থার সংকট তৈরি হবে। আর এই প্রক্রিয়া বারবার চলতে থাকলে রাষ্ট্র ও সমাজে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্ট দিবসে দেশ, জনগণ ও সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে বিচারক, আইনজীবী ও সংশ্লিষ্ট সবাই তাদের মেধা ও মনন প্রয়োগের মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবেন- এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.