মরে গেলেও মাঠ ছাড়ব না : তৈমুর

0

নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, প্রশাসনকে বলেছি, জনগণের সেবা করা আপনাদের দায়িত্ব।আমি প্রচার না, সংবাদ সম্মেলন করছি। আমি ভোট চাইনি। আমার ঘরে আগুন লাগিয়ে দিলে, আমি কী কথা বলব না। আমার লোকজন গ্রেপ্তার হচ্ছে। আমার গলায় আপনি ফাঁসি লাগিয়ে দেবেন, আমি কথা বলতে পারব না, সেটা তো হবে না। এটা নৈতিক দায়িত্ব। মানুষের ওপর যত অত্যাচার হয়, ভোটাররা তত ঐক্যবদ্ধ হয়। লক্ষাধিক ভোটে পাস করব। মরে গেলেও মাঠ ছাড়ব না। প্রশাসনকে বলব জনগণের সেবা করা আপনাদের দায়িত্ব, বহুবার রিকোয়েস্ট করেছি। এখন বিবেকের কাছে ছেড়ে দিলাম। আগামীকালের ভোট যাইহোক আমরা মাঠে থাকব। গ্রেপ্তার হলে হব, কিন্তু নির্বাচন চালিয়ে যাব।

শনিবার (১৫ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে তৈমূর আলম খন্দকার এ কথা বলেন।

তৈমূর আলম বলেন, আজকে আপনাদের সামনে হাজেরা বেগম উপস্থিত আছে। তার স্বামী মহানগর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক। সে আমার বাড়িতে রাত দুটো পর্যন্ত ছিল। তাকে ঈদগাহের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বেশির ভাগই আমার দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করছে। পাঠানটুলি এলাকার একটা ছেলে আহসান সেই এলাকায় আমার নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করেছিল। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমি এখনও তার খোঁজ পাইনি।

তিনি আরও বলেন, এখানে অনেক লোক আছেন যারা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন। এদের মধ্যে এমন কোন লোক নেই যাদের বাড়িতে দুই থেকে তিনবার লোক যায়নি। প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই, আপনি আমাদের ওপর এত অত্যাচার করছেন কেন? প্রশাসনের এহেন কাজে আপনার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। মহানগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক পাপনও কাল এখানে ছিল। তাকেও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এভাবে আমার লোকদের গ্রেপ্তার করা হলে নির্বাচন কমিশন যে বলছে, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, এটাই কী সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রক্রিয়া।

স্বতন্ত্র এই প্রার্থী আরও বলেন, এখানে যারা আছেন তাদের জিজ্ঞেস করে দেখেন, পুলিশ কীভাবে অত্যাচার করছে। একটি অডিও ভাইরাল হয়েছে। ভোটারদের নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য প্রেশার দেওয়া হচ্ছে। নয়তো তাদের ভোট দিয়ে দেওয়া হবে।

এসপির বক্তব্যের প্রতিবাদে তৈমূর বলেন, আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে যে কথা বলি এটা কি তার কর্ণগোচর হয় না? এসব সাফাইয়ের কোনো ভিত্তি নাই। রবি কী মাদক ব্যবসায়ী, জামাল হোসেন কী হেফাজত। ১৯৫২ সালে যারা এদেশের আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালিয়েছিল, তারাও কিন্তু বাঙালি পুলিশই ছিল।

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.