করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নেওয়া হয়েছে তিন ধাপের প্রস্তুতি

0

বাংলাদেশে যদিও এখনো করোনা ভাইরাস দেখা যায়নি। তবে সতর্কতায় পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশ। এ ভাইরাস প্রতিরোধে তিন ধাপের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইইডিসিআরের সমন্বয়ে এই প্রস্তুতির খসড়া তৈরি করা হয়েছে বলে আজ বুধবার সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘বাংলাদেশে এবার অনেক আগে থেকেই করোনাভাইরাসের পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছিলাম আমরা। যে প্রস্তুতি নিয়ে আমরা কাজ করছি এবং যদি রোগী পাওয়া যায় তখন কী করা হবে, সেসব প্রস্তুতির খসড়া আমরা তৈরি করেছি। সেটা চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলছে।’

তিন ধাপে পরিকল্পনার বিষয়ে আইইডিসিআরের পরিচালক বলেন, ‘একটা হচ্ছে অ্যালার্ট লেভেল- যখন কোনো রোগী নেই, এখন সেই কর্মসূচি আমরা পালন করছি। যখন বিদেশ থেকে রোগী পাওয়া যাবে, অল্প সংখ্যায়- সেটা আরেকটা লেভেল। আর শেষটা হলো, যদি অনেক রোগী হয়ে যায়, সেই লেভেল।’

তবে বাংলাদেশে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে না বলে আশা করলেও প্রতিরোধের প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি রাখা হচ্ছে না বলে জানান ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি বলেন, ‘সম্মিলিতভাবে আমরা যে কার্যক্রম নিচ্ছি, তাতে আশঙ্কা করি না যে এ রোগটা দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে।’

করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরীক্ষার উপকরণের কোনো সমস্যা নেই বলে জানানও তিনি।

ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘কিট পাইপলাইনে আছে, কিট আসতেই থাকবে। চীন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে আসছে। আমরা নমুনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে তো কাউকে ফিরিয়ে দেইনি এখনো।’

‘আর যদি ১০০ বা ২০০ জন আক্রান্ত হন, সেক্ষেত্রে পরীক্ষার প্রয়োজন নেই বলে নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। প্রাথমিক উপসর্গ দেখা দিলে ধরে নিতে হবে যে, করোনাভাইরাসের রোগী তারা। সেই অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে হবে’, যোগ করেন আইইডিসিআরের পরিচালক।

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন চারজনের নমুনা পরীক্ষাসহ সর্বমোট ৮৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলেও তাদের কারও মধ্যে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া যায়নি। আমরা প্রত্যেককেই হোম কোয়ারেন্টিনে রেখে ১৪ দিনের নজরদারিতে রেখেছি, তাদের সাথে যোগাযোগ রেখেছি। আর উহান থেকে যারা এসেছে, তাদের ১৪ দিনের বাইরেও আরও ১০ দিন নজরদারিতে রেখেছি কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা যায় কি না, তা দেখার জন্য। সেই ১০দিনও গতকাল শেষ হয়েছে, কিন্তু তাদের কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি।’

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.