সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের নিন্দা ও জঘন্য কর্মকাণ্ডের জন্য সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসতে বৃহস্পতিবার একটি প্রস্তাবে ভোট দিয়েছেন মার্কিন সিনেটররা।
দেশটির পররাষ্ট্র সম্পর্কবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান বব কোরকার এ প্রস্তাবটি উত্তাপন করেন, যা কণ্ঠভোটে গৃহীত হয়েছে।
ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন যুদ্ধে মার্কিন সামরিক সহায়তা বন্ধের অনুমোদনের পর বৃহস্পতিবার সিনেটে পাস হওয়া এটি ছিল দ্বিতীয় প্রস্তাব।
এ প্রস্তাবকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভর্ৎসনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ মার্কিন-সৌদি সম্পর্কের বিবেচনায় খাশোগি হত্যাকে তিনি ন্যূনতম করে দেখেছেন।
ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেন-খাশোগি হত্যায় মোহাম্মদ বিন সালমানের কোনো ভূমিকা নেই।
গত ২ অক্টোবর ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যায় ট্রাম্পের অবস্থানের প্রতি নিন্দা জানানোর কথা বলা হয়েছে কোরকারের প্রস্তাবে।
এ সাংবাদিককে হত্যায় যুবরাজের ভূমিকা রয়েছে বলে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন সত্ত্বেও সৌদি আরব ও দেশটির নেতা মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলেছেন ট্রাম্প।
ইয়েমেন প্রস্তাবের মতো কোরকারের বিল সিনেট নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে কোনো কঠিন প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়নি। খাশোগি হত্যাকাণ্ডে আইনগত জবাব প্রশ্নে হোয়াইট হাউসের সঙ্গে কোনো সংঘাতে যেতে চায়নি সিনেট নেতৃত্ব।
খাশোগি হত্যাকাণ্ডের কথা প্রথমে অস্বীকার করেছিল সৌদি আরব। কিন্তু বেশ কিছু পরস্পরবিরোধী ব্যাখ্যা দেয়ার পর রিয়াদ স্বীকার গেছে যে কূটনৈতিক ভবনের মধ্যেই তিনি নিহত হয়েছেন।