চট্টগ্রামে অপহরণ করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবীর পরিকল্পনার অভিযোগে ৪ কিশোর অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে এক স্কুল পড়ুয়া কিশোরকে অপহরণের পর তার পরিবারের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা করছিলো।
আজ রবিবার সকালে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪ স্কুল ও কলেজ পড়ুয়াদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো-মুক্তাদির রহমান (১৭) শাকিল (১৮)এ আল কিবরিয়া (১৬) ও শাহিদ আজ-মাঈন (১৯)।
সদরঘাট থানার ওসি নেজাম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নগরীর সেন্ট্রাল পাবিলক স্কুল অ্যান্ড কলেজ এর কদমতলী শাখার ৭ ম শ্রেণীর ছাত্র মেহেদী হাসান মিশকাতকে অপহরণ করা হয়। পরে তার পরিবারের কাছে ১০ লাখ টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করে তারা।
অপহৃত মেহেদীর পরিবারের থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর উদ্ধার ভোর রাতে তিনজনকে এবং পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মাঈনকে দুপুরে মাদারবাড়ি এলাকার তার বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে মিশকাতকে আহতবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অপহরণকারীরা মিশকাতকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করতে চেয়েছিল বলে তার পরিবার অভিযোগ করেছে। গতকাল সন্ধ্যায় স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে মোবাইলের লোভ দেখিয়ে তাকে এলাকার পার্শবর্তী মাঠে নিয়ে যায় অপি নামক ছেলেটি,এবং কৌশলে তার পরিবারের নাম্বার সংগ্রহ করে। কিন্তু তাকে লোভ দেখিয়ে আটকে রাখতে অক্ষম হয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে এবং গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করে। কিন্তু একপর্যায়ে বেহুশ হয়ে পড়ায় মিশকাতকে মৃত ভেবে সে পাশের ডোবায় ফেলে রেখে চলে আসে। পরে সে প্রায় আধা ঘন্টা পর জ্ঞান ফিরে পেয়ে বাসায় ফিরে আসে এবং তাকে মূমুর্ষ অবস্থায় রাত ১০ টায় চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মেহেদীর বাবা আব্দুল জলিল জানান, সেন্ট্রাল পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের কদমতলী ডে কেয়ার স্কুলে মেহেদীর ক্লাস চলত রাত ৮টা পর্যন্ত। শনিবার রাতে স্কুল থেকে বাসায় ফিরতে দেরি হওয়ায় তারা খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন মেহেদীকে অপহরণ করা হয়েছে।
আজ সকালে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মিশকাতের স্কুল ব্যাগ ও অপহরণে ব্যবহৃত মোবাইল ও রশি উদ্ধার করা হয়।