বাঁশ কেন খাবেন?

0

চিরহরিৎ উদ্ভিদ বাঁশ। ঘাস পরিবারের এরা বৃহত্তম সদস্য। এক একটি গুচ্ছে ১০-৭০/৮০ টি বাঁশ গাছ একত্রে দেখা যায়। এসব গুচ্ছকে বাঁশ ঝাড় বলে। সময়ের ব্যবধানে বাঁশ ঝাঁড়ে যে নরম অংশ পাওয়া যায় সেটিই বাঁশ কোড়ল। আমাদের দেশে বিশেষ করে পাহাড়ি অঞ্চলে বাঁশের কোড়ল দিয়ে বিভিন্ন সুস্বাদু খাবার তৈরি করা হয়। মুলি বাঁশের কোড়ল সবচেয়ে সুস্বাদু। স্বাদের পাশাপাশি দৈহিক সুস্থতায় বাঁশের ভূমিকা অপরিসীম। চীনের অধিবাসীরা বাঁশের কোড়লকে ‘স্বাস্থ্যকর খাবারের রাজা’ বলে অভিহিত করেন।

বাঁশে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। বাঁশের কোঁড়লে ৮৮-৯৩% পানি, ১.৫-৪% প্রোটিন, ০.২৫-০.৯৫% চর্বি, ০.৭৮-৫.৮৬% চিনি, ০.৬০-১.৩৪% সেলুলোজ এবং ১.১% খনিজ পদার্থসহ পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিনও রয়েছে।

বাঁশের উপকারিতা :
শীতকালে সাধারণত বয়স্ক এবং শিশুদের কাশি হয়। এসময় বাঁশ পাতার রস খেলে কাশি কমে।
বাশেঁর কোড়ল হাঁপানী রোগীদের সুস্থ থাকতে ভূমিকা রাখে।
দেহের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
এটি উচ্চ রক্তচাপ ও ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়।
কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করে।।
ডায়াবেটিস রোগীরা বাঁশের কোড়ল খেলে উপকার পাবেন।

বাঁশ কোড়লে শুটকি : যা যা লাগবে-
বাঁশ কোড়ল,
শুটকি,
পেঁয়াজ কুচি,
তেল,
লবণ,
মরিচের গুঁড়া।

যেভাবে রান্না করবেন: সিদ্ধ করে বাঁশ কোড়ল কুচি কুচি করে কেটে নিতে হবে। তারপর পাত্রে পরিমাণমত তেল ‍দিয়ে চুলায় বসিয়ে শুটকি ও কুচি করা পেঁয়াজ তেলে ভেজে নিতে হবে। কিছুক্ষণ ভাজার পর বাঁশ কোড়ল দিয়ে নেড়ে লবণ ও হালকা লাল মরিচের গুঁড়া মেশাতে হবে। এরপর সামান্য পানি দিয়ে ঢেকে অল্প তাপে বাঁশ কোড়লে শুটকি রান্না করতে হবে।
শুটকির জায়গায় চিংড়ি দিয়েও রান্না করা যায়। চিংড়ি দিয়ে রান্না করলে নামানোর আগে হালকা জিরা গুঁড়া মেশাতে হবে।

বাঁশ কোড়ল দিয়ে মাংস:
মাংসের সঙ্গে বাঁশ কোড়ল রান্না খুবই মজাদার। প্রথমে স্বাভাবিক নিয়মেই মুরগি কিংবা অন্যান্য পশুর মাংস রাঁধতে হবে। শুধুমাত্র মাংসটা হওয়ার ১০-১৫ মিনিট আগে কুচি করে কাটা সিদ্ধ বাঁশ কোড়লগুলো দিতে হবে।

বাঁশ কোড়ল সালাদ বানিয়ে খেতে পারেন। এছাড়া বাঁশের কোড়ল দিয়ে চিংড়ির দোপেঁয়াজা কিংবা স্যুপ বানাতে পারেন। ওয়ান বাইট বাঁশ কোড়ল ও স্টাইয়ার ফ্রাই বাঁশ কোড়লও দারুণ সুস্বাদু খাবার।

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.