চট্টগ্রাম বন্দরে মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি করা বিদেশি বিভিন্ন ব্রান্ডের ৫৫ লাখ ৫২ হাজার ৪’শ শলাকা সিগারেট জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। শুধু এই চালানেই ৭ কোটি ১১ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা রুখে দিয়েছে কাস্টমস কর্মকর্তারা। খেজুর আমদানির ঘোষণা দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আমদানি নিষিদ্ধ সিগারেট এনেছে সূচনা ইন্টারন্যাশনাল নামে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানা এলাকার এক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মো. শরফুদ্দীন মিঞা।
মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ৫৫ লক্ষ ৫২ হাজার শলাকা সিগারেট আমদানি করে ৭ কোটি ১১ লক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করেছে। ফটিকছড়ির বক্তপুর ইউনিয়নের দৌলত বাড়ির আবু তাহেরের ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের পাসপোর্ট ব্যবহার করে ৪০ ফুট সাইজের এক কন্টেইনারে করে আনা হয় সিগারেটের এই চালানটি। চালানটি আমদানির লক্ষ্যে গেøাবাল ইসলামী ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে এলসি ইস্যু করা হয়। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার সালাউদ্দিন রেজভী বলেন, প্রায় ৭ কোটি ১১ লক্ষ টাকা সরকারি রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা করা হয় এ চালানে। কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন এন্ড রিচার্স (এআইআর) শাখার কঠোর নজরদারির কারণে এই অপচেষ্টা নস্যাৎ করে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এ ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের দ্রæত চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কমিশনার ।’
জানা গেছে, পণ্যচালানটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের জেবেল আলি বন্দর থেকে গত ২৭ ডিসেম্বর জাহাজীকরণ করা হয়। গত ৩০ ডিসেম্বর জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায়। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও আমদানিকারক বিল অব এন্ট্রি দাখিল করেনি। এর ফলে শতভাগ কায়িক পরীক্ষার লক্ষ্যে গত ২৪ এপ্রিল কন্টেইনারটি খোলা হয়।
এ সময় কন্টেইনারে থাকা ২ হাজার ৭৭২ কার্টন শতভাগ কায়িক পরীক্ষা শেষে আমদানিকৃত খেজুরের মধ্যে ১ হাজার ৯৮৩টি কার্টনে উপরিভাগে খেজুর ও নিম্নভাগে লুকানো মন্ড ব্র্যান্ডের বিদেশী সিগারেট এবং ৭৮৯ টি কার্টনে শুধু খেজুর পাওয়া যায়। এই কার্টনগুলোর মধ্যে সর্বমোট ৫৫ লক্ষ ৫২ হাজার ৪০০ শলাকা মন্ড ব্র্যান্ডের সিগারেট এবং ১১৮৫৬ কেজি খেজুর পাওয়া যায়। সিগারেটের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ১৯ লক্ষ টাকা। যার মাধ্যমে প্রায় ৭ কোটি ১১ লক্ষ টাকার রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা করা হয়।