যুবলীগের ৫০ বছর পূর্তি ও সুবর্ণজয়ন্তীর মহাসমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশের উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছি, মানুষ আজ নতুন করে বাঁচার আশা দেখছে। অনেকে সেই উন্নয়ন চোখে দেখে না। চোখ থাকতে অন্ধ হলে কী করা। সবাই ডিজিটাল বাংলাদেশ ব্যবহার করছে, মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে।’
যুবলীগের ৫০ বছর পূর্তি ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আজ শুক্রবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘’যারা বলেছিল দেশ শ্রীলঙ্কা হবে তাদের মুখে ছাই পড়েছে। রিজার্ভ দেশের জনগণের কাজে লাগাচ্ছি, দেশের টাকা দেশেই রয়েছে। ‘বাংলাদেশে কোনো দুর্ভিক্ষ হবে না। আমাদের অর্থনীতি যথেষ্ট শক্তিশালী।’
আজ দুপুর পৌনে ৩টার দিকে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সমাবেশের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে ছিলেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামশ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যে দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে পেইন্টিং উপহার দেন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা। এরপর যুবলীগের উত্তরীয় পরিয়ে দেন যুবলীগের মহিলা নেত্রীরা। পরে সুবর্ণজয়ন্তী লোগো উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর যুবলীগের ওয়েবসাইট উদ্বোধন করা হয়।
এদিকে, কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে সমাবেশস্থল ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। সকাল থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসেন নেতাকর্মীরা। সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, নুরুল মুজাহিদ হুমায়ুন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আযম, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিল।