Saturday, May 17

নিউইয়র্কে র‍্যাম্পে হাঁটলেন নিবিড়, পারিশ্রমিকের অর্থ পাবে ফিলিস্তিনি পরিবার

0

একটু একটু করে আন্তর্জাতিক হয়ে উঠছে বাংলাদেশের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি। বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সব ফ্যাশন উৎসবে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশি ডিজাইনার ও মডেলরা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার বাংলাদেশের মডেল নিবিড় আদনান হাঁটলেন নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইকের রানওয়েতে।নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইকের মূল আয়োজন শেষ হয়ে যাওয়ার পর একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয় নিরীক্ষামূলক, হাই ফ্যাশনের আয়োজন ‘কতুর ফ্যাশন উইক’। ১৪ তারিখে ছিল ‘কতুর ফ্যাশন উইক’-এর ৪০তম আসর। নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইকের এই ‘ফলোআপ’ আয়োজনেও অংশ নেন বাংলাদেশি এই মডেল। সেখানে নিবিড় ও আরেক রুশ মডেল ছিলেন শো স্টপার ।১০ সেপ্টেম্বর নিবিড়ের পরনে ছিল অস্ট্রেলিয়ান ফ্যাশন ডিজাইনার ইনগা কোভালেরোভা ও আফ্রিকান–মার্কিন ফ্যাশন ডিজাইনার একানেম আর্চিবং জুটির ডিজাইন করা পোশাক।দ্বিতীয় দিন নিবিড়ের পরনে ছিল বাংলাদেশি–মার্কিন ফ্যাশন ডিজাইনার মাজিদ ডিজায়ারের পোশাক।ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি ‘ব্লক দ্য নয়েজ’ নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইকের জন্য কাস্টিং কল করে। পোর্টফোলিও আর ছবি দেখে চলে প্রাথমিক বাছাইপর্ব।এরপর অনুষ্ঠিত হয় অডিশন। সেখানে নিবিড়ের কিছু মডেল পোলারয়েডস (জিনস, সাদা টি–শার্ট বা ট্যাঙ্ক টপ, সাদা স্নিকার্স, বা শার্টলেস সাদা–কালো কিছু বেসিক ছবি) রেখে দেয় সেই প্রতিষ্ঠান। সেই পর্ব পেরিয়ে নিউইয়র্ক ফ্যাশন উইকের এই দুটি ইভেন্টের রানওয়েতে হাঁটার জন্য নির্বাচিত হন নিবিড় আদনান।এই রানওয়েতে নিবিড়সহ অন্য মডেলদের পারিশ্রমিক একটা অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের মধ্য দিয়ে চলে যাবে ফিলিস্তিনের বাস্তুচ্যুত ৭ পরিবারের কাছে।এই ফ্যাশন উইকে হাঁটার অভিজ্ঞতা জানিয়ে নিবিড় বলেন, ‘এটা অন্য রকম। আমি তো ল্যাকমে ফ্যাশন উইকে ভারতের মুম্বাইয়ের জিও ওয়ার্ল্ড কনভেনশন সেন্টারেও হেঁটেছি। তবে এটার আর্কিটেকচারই অন্য রকম। সুবিশাল হলরুম। ৬ তলা উঁচু একটা বিল্ডিংকে দোতলা বানানো। হেয়ার–মেকআপের রুম আলাদা। পোশাকের জায়গা আলাদা। প্রতিটি মডেলের সঙ্গে সার্বক্ষণিক দুজন নিয়োজিত। এই অনুভূতি কেবল অনুভবের, ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।’ফ্যাশন শো শেষে ছিল ককটেল পার্টি আর ফটোশুট। ফটোশুটে এই ইভেন্টে হাঁটা মডেলরা প্রায় অর্ধশত আলোকচিত্রীর সামনে দাঁড়িয়ে পোজ দেন। নিবিড়কে দেখে অনেকেই জানতে চেয়েছেন, তিনি আরব, নাকি পাকিস্তানি? অনেকে আবার ভারতীয় ভেবেছেন! নিবিড় সবাইকে গর্বের সঙ্গে জানিয়েছেন যে তিনি বাংলাদেশি।শো শেষে ফটোশুটের অভিজ্ঞতা জানিয়ে নিবিড় বলেন, ‘হলিউড বলিউডের তারকারা কানের লালগালিচায় দাঁড়ালে যে রকম লাগে, আমার তেমনই অনুভূতি হচ্ছিল। নিজেকে মনে হচ্ছিল সুপারস্টার।’ সেই আলোকচিত্রীদের তোলা কিছু ছবি নিবিড় সংগ্রহ করে জুড়ে দিয়েছেন পোর্টফোলিওতে।ককটেল পার্টিতে কয়েকটি ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজের ব্যাপারে আলাপ হয়েছে। তাই আরও কিছুদিন যুক্তরাষ্ট্রেই থাকবেন নিবিড়। সেখান থেকে যাবেন কানাডা। তারপর দেশে ফিরবেন।

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.