রমজানের প্রথম দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত মাসব্যাপী বিএফডিসির ক্যান্টিনের সামনে ইফতার আয়োজন করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল ও মিশা সওদাগর। গেল বৃহস্পতিবার মিশা-ডিপজল প্যানেলের ইফতার আয়োজনে হাজির হন একঝাঁক শিল্পী।
এ সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখে হয়েছে চিত্রনায়িকা নিপুণের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন নানা শাহ। তার ভাষ্য, ‘আগেরবার আমি ও ডি এ তায়েব নিপুণের সঙ্গে নির্বাচন করেছিলাম। ভালো কিছু কাজের আশায় তাদের সঙ্গে নির্বাচন করা। তারা (ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ আক্তার) কথা দিয়েছিল সিনেমা নির্মাণ করবে। একটি কথা মনে রাখবেন, শিল্পী সমিতি সিনেমা নির্মাণ করতে পারে না। কিন্তু নিপুণ কথা দিয়েছিল, তারা ৬টি সিনেমা নির্মাণ করবে। আমি তার কথা অনুযায়ী এগিয়ে ছিলাম। দুটি সিনেমায় এন্টি করেছিলাম। কিন্তু তারা আমার পাশে কেউ আসেনি। সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার হল আমাদের অনেক শিল্পী এখনও বেকার। তাদের জন্য শিল্পী সমিতি দুই বছরে কি করতে করেছে? দুই বছরে শিল্পী সমিতির সফলতা দেখছি না।’
কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের সফলতা না দেখলেও, অদ্ভুত সফলতা দেখেছেন নানা শাহ। সেকথা তিনি বলেন, ‘আমাদের চঞ্চল চৌধুরী ভারতে পুরস্কার পেয়েছে, সেটি নাকি শিল্পী সমিতির অবদান। এখানে শিল্পী সমিতি কী? এটি তো তার কর্মে পেয়েছে। এরকম অদ্ভুত কথা বলে লাভ নেই। ওই কমিটিতে আমরা গিয়ে ভুল করেছি। তাই এবার আগেই ঠিক করেছি, মিশা-ডিপজল প্যানেলে থাকব। যারা কিছু করতে পারবে তারাই এই প্যানেলে আছে।’
এদিকে, সম্প্রতি নিপুণ সভাপতির খোঁজে মাঠে নেমে সমালোচনায় জড়ান আসন্ন শিল্পী সমিতির নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু ও আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান শামসুল আলম। বিষয়টি তুলে নানা শাহ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে বিতর্ক শুনেছি। কিন্তু তাদের কাছে আশা করব, এরকম বিতর্ক যেন আর না হয়। তারা সুস্থ ও সুন্দর একটি নির্বাচন পরিচালনা করবেন এমনই আশাই আমরা করছি।’
উল্লেখ্য, নানা শাহ ১৯৮২ সালে আবদুল্লাহ আল মামুনের ‘মাটি ও মানুষ’ সিনেমাতে নায়ক চরিত্রে অভিনয় করেন। এটি দিয়ে সিনেমায় তার আত্মপ্রকাশ। এরপর ‘প্রেমের কসম’ ও ‘বাজিগর’ সিনেমায় খল-নায়কের চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের নজর কাড়েন তিনি। দর্শকদের ভালোবাসায় নানা শাহ কাজ করেছেন বেশ কিছু সিনেমায়।