শ্রমিক ও কোম্পানি চাকরীজীবির চাপা কান্না কেউ দেখে না

0

এম হামিদুর রহমান লিমন, রংপুর প্রতিনিধি: একটি কোম্পানির প্রাণ হচ্ছে মার্কেটিং বা মাঠ পর্যায়ের যারা কাজ করে তারা। তাদের কর্ম বা কাজের উপর টিকে থাকে একটি কোম্পানি। কিন্তু মার্কেটিং বা মাঠ পর্যায়ে যারা কাজ করে তাদের হৃদয়ের কান্না কেউ দেখেনা।

একজন মার্কেটিং বা মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের উপর টিকে থাকে একটি কোম্পানি। তারা একটি কোম্পানির প্রাণ। একজন মার্কেটিং বা মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের কখন ছুটি দেয়া হয়না আবার তাদের নেই কোন সরকারি ছুটি। তারা মাসে ২৬ দিন বা ২৬ কার্য দিবষ কাজ করে আবারো কখনো কখনো শুক্রবারো কাজ করতে হয়। কার্য সময় ৮ ঘন্টা নির্ধারণ করা হলেও কিছু কিছু কোম্পানি ৮ ঘন্টারো বেশী কাজ করায়। বিশেষ করে টোবাকো কোম্পানি গুলোতে প্রায় ১২ ঘন্টারো বেশী কর্মীরা শ্রম দেয়। কিন্তু তার জন্য শ্রমিকদের বেতনের বাড়তি আর কোন টাকা দেয়া হয়না কোন। মার্কেটিং বা মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা কঠর প্ররিশ্রমের মধ্যে দিয়ে একটি কোম্পানি টিকে রাখে প্রতিযোগীতার মাধ্যমে। তারা তাদের পরিবারকে যতটা সময় পরিবারকে দেবার কথা ততোটা সময় কখন পরিবারকে দিতে পারেনা। পরিবারকে তারা সময় না দিয়ে, সময় দিচ্ছে কোম্পানির জন্য। সকাল থেকে সন্ধা পযর্ন্ত কোম্পানির হয়ে মানুষের দারে দারে সেবা পৌচ্ছে দিচ্ছে তারা। তার পরেও যত গালি, যত কথা যেন তাদের জন্য। আজ মার্কেটিং বা মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা অত্যাচারিত এবং শোষীত্ব কোম্পানির মালিক থেকে শুরু করে উপরের পদের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে। মার্কেটিং বা মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের যতটা বেতন পাবার কথা সেটা পায়না। তাদের বেতন কম পাবার পিছনে রয়েছে যতেষ্ট কারণ। আর সেই কারণটি হচ্ছে দেশের শিক্ষার হার বেশী আর কর্ম সংস্থান কম থাকার কারণে বা না থাকার জন্য শিক্ষিত যুবকদের দুর্বলকে পুজি করে কম বেতনে তাদের খাটিয়ে কোম্পানি গুলো তাদের সার্থ্য হাছিল করেছে আর নিজেদের মার্কেটে টিকে রাখছে বা নিজেদের বিস্তার করছে মার্কেটে।নিজেদের টিকে রাখার যুদ্ধ করছে সব সময়।

এক মার্কেটিং বা মাঠ পর্যায়ের কর্মী জানান যে, আমরা আমাদের সন্তানদের ঘুমান্ত রেখে আসি আর রাত্রের বেলায় যখন বাসায় ফিরি তখনো সন্তান ঘুমাচ্ছে। পিতা হিসাবে সন্তানকে সময় দিতে পারিনা। আর এই কারণে সন্তান আর পিতার মাঝে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। সন্তানের পাশে থেকে কথা বলার মত, তার মাথায় হাত বুলাব সেই সময় টুকুও নেই আমাদের। সন্তান বাবা বলতে আর মা বলতে একজনকেই পাশে পায় তিনি হল মা।

তিনি কান্না জরানো অবস্থায় বলেন, আমরা আমাদের সন্তানদের, আমাদের পরিবারকে সময় দিতে পারিনা আমরা অসুস্থ হলেও আমাদের অফিসে আসতেই হবে। আমরা অসুস্থ হলেও যেন কম্পানির কোন যায় আসেনা। অসুস্থ হলেও নেই কোন ছুটির ব্যাবস্থা।

অন্য আর একজন মার্কেটিং বা মাঠ পর্যায়ের কর্মী জানান, আমরা এত নির্যাতন সহ্য করে আসছি।আমরা শুধু চাকরী হারার ভয়ে কোন প্রতিবাদ করতে পারিনা। তিনি আরো বলেন, আমাদের মাস শেষে গুনতে হয় আকাশ ছোয়া টার্গেট যা আমাদের জন্য পূরণ করা অসাধ্যকর। তিনি আরো বলেন, আমাদের একটা সংগঠন গঠন করা উচিৎ। যার মাধ্যমে আমরা সরকারের কাছে আবেদন করতে পারব।

মার্কেটিং বা মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের সব সময় সবার চক্ষু আড়ালে থেকে যায়। তাদের নিয়ে কেউ কখন চিন্তা করেনা। তারা এ্ই শোষণ আর অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচাতে সংশিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.