দশম ওভারের তৃতীয় বলে ছয়টি উইকেটের পতন। মোট সংগ্রহ ৬০ রান। জয়ের জন্য দরকার আরও ৮৫ রান। খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে থাকা বাংলাদেশকে সাহস দিলেন তরুণ আফিফ হোসেন। সঙ্গে ছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন। শেষ পর্যন্ত ৮২ রানে এই জুটি থামলেও বিদায়ের আগে জয়ের ভীত গড়ে দেন আফিফ। ৫২ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস খেলে দলকে জয় এনে দিয়েছেন এই তরুণ ব্যাটসম্যান। এই ম্যাচ দিয়ে ছয় ম্যাচ পর জয়ে ফিরল বাংলাদেশ।
ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে শুক্রবার জিম্বাবুয়েকে তিন উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে হারতে হয়েছিল। এর পর শ্রীলঙ্কার মাটিতে ওয়ানডে সিরিজে ধবল ধোলাই। সবশেষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টেও লজ্জার হার। এই ছোট ফরম্যাটে এই জয় নিশ্চই স্বস্তি দেবে টাইগারদের।
শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব।
জিম্বাবুয়ের দেয়া ১৪৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে স্বাগতিকরা।
টেন্ডাই চাতারা আর কাইল জার্ভিসের পেস তাণ্ডবে টপ অর্ডারে ধস নামে স্বাগতিকরদের।
তৃতীয় ওভারের শেষ বলে ১৯ রান করা লিটন দাসকে ফিরিয়ে দেয়ার পরই দাপট দেখানো শুরু করে জিম্বাবুয়ের বোলাররা।
সৌম্য সরকার ৪, সাকিব আল হাসান ১ আর মুশফিকুর রহিম ফেরেন রানের খাতা না খুলেই। অন্যদিকে ১৪ রান করে মাঠ ছাড়েন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। অন্যদিকে ১৫ রান করে বিদায় নেন সাব্বির রহমান।
ঠিক এমন সময়ে দলের হাল ধরেন ১৯ বছর বয়সী আফিফ। যোগ্য সঙ্গ দেন মোসাদ্দেক হোসেন।
ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচেই আফিফ তুলে নেন অর্ধশতক। ম্যাচের শেষ ওভারে আউট হবার আগে ২৬ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলেন। অন্যদিতে মোসাদ্দেক অপরাজিত ছিলেন ৩০ রান করে।
শেষ দিকে মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন ৬ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচটি নিজেদের করে নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
১৪৪/৫ (১৮)
১৪৭/৭ (১৭.৪)
বাংলাদেশ তিন উইকেটে জয়ী