মোঃ আশরাফুল আলম ফুলবাড়ী দিনাজপুর প্রতিনিধি : দেশে করোনা ভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করায় দিনাজপুরে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সারাদেশের ন্যায় প্রায় ৬৫ দিন পর ৩১ মে থেকে “পঞ্চগড় এক্সপ্রেস” ট্রেন চলাচলের মধ্য দিয়ে দিনাজপুরে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। জানা গেছে, বর্তমান বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের বিস্তাররোধে চলতি বছরের ২৬ মার্চ হতে সারা দেশের ন্যায় দিনাজপুরের সাথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রবিবার (৩১ মে) বেলা সাড়ে ১২টায় পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা ঢাকামূখি “পঞ্চগড় এক্সপ্রেস” ট্রেনটি দুপুর ঠিক ২ টা ২০ মিনিটে দিনাজপুর রেল স্টেশনে এসে পৌঁছে। এ সময় দিনাজপুর রেল স্টেশনের স্টেশন সুপার এবিএম জিয়াউর রহমানসহ রেলের অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীরা “পঞ্চগড় এক্সপ্রেস” ট্রেনের যাত্রীসহ ওই ট্রেনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের স্বাগত জানান।
দিনাজপুর রেল স্টেশনের স্টেশন সুপার এবিএম জিয়াউর রহমান জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে দিনাজপুর থেকে (পঞ্চগড় ঠাকুরগাঁও দিনাজপুর) শুধুমাত্র পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি দিনাজপুর হয়ে ঢাকায় চলাচল করবে। এই এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে মোট ১৩টি কোচ রয়েছে। এতে আসন বরাদ্দ রয়েছে ৮৯৬টি। এর মধ্যে এসি আসন ৪৮টি, স্নিগ্ধা আসন ৮০টি ও শোভন চেয়ার আসন ৭৬৮টি। তিনি জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে সরকারী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বর্তমানে ট্রেনে ৫০ শতাংশ আসনের জন্য টিকিট বিক্রি করা হবে। আর বাকী ৫০ শতাংশ আসনের টিকিট খালি থাকবে। তবে আগের ভাড়াই বহাল থাকবে। তিনি জানান, রবিবার সকালে দিনাজপুর রেল স্টেশনের প্লাটফর্ম ও এর আশপাশের এলাকায় জীবানুনাশক স্প্রে করে পুরো প্লাটফর্ম এলাকা জীবানুমুক্ত করা হয়।
ট্রেন স্টেশনে প্রবেশ করার পূর্বে ট্রেনে যাতায়াতকারী যাত্রীদের শরীরে জীবানুনাশক স্প্রে করে ও নিজ নিজ টিকিট পরীক্ষা করে তাদের প্লাটফর্মে প্রবেশ করানো হয়। যাত্রী ছাড়া অন্য কাউকে প্লাটফর্মের ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি বলে জানান তিনি। দিনাজপুর রেল স্টেশনের স্টেশন সুপার এবিএম জিয়াউর রহমান, আরও বলেন, “পঞ্চগড় এক্সপ্রেস” ট্রেনটি ২১টা ৫৫ মিনিটে (রাত ৯ টা ৫৫ মিনিটে) ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশনে পৌঁছাবে। উল্লেখ্য, ট্রেনটি ঠিক ২টা ২০ মিনিটে দিনাজপুর রেল স্টেশনে এসে পৌঁছে এবং ২টা ২৫মিনিটে দিনাজপুর রেল স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। এদিকে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনে থাকা ঢাকায় যাতায়াতকারী কয়েকজন যাত্রী জানান, দীর্ঘদিন পর আমরা ট্রেনে যাত্রা করতে পেরে খুবই আনন্দিত। আমরা নির্বিঘ্নে ট্রেনে গন্তব্যে যেতে পারবো ও এতে আমাদের কষ্টও লাঘব হবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেনে উঠেছেন বলে তারা জানান।