কুমিল্লায় ডিবি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ: নিহত ২

0

কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। নিহত দুজন ডাকাত দলের সদস্য বলে দাবি করছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার বাতাকান্দি-আসমানিয়া বাজার সড়কের নারায়ণপুর কবরস্থানের সামনের রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- তিতাস উপজেলার উত্তর মানিকনগর গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে আল-আমিন কাউসার (৩০) ও বুড়িচং উপজেলার কংশনগর গ্রামের চরেরপাড় গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে এরশাদ (৩২)। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুটি দেশীয় তৈরি এলজি, চার রাউন্ড কার্তুজ, তিনটি ছোরা, সাতটি মুখোশ ও দুটি লোহার রডের টুকরাসহ পাঁচ ডাকাতকে আটক করেছে। এ সময় অভিযানে অংশ নেয়া ডিবি পুলিশের দুজন এসআইসহ চারজন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বাতাকান্দি-আসমানিয়া বাজার সড়কের নারায়ণপুর কবরস্থানের সামনের রাস্তায় ডাকাতির প্রস্তুতির খবর পেয়ে ডিবির টিমটি রাত আড়াইটার দিকে সেখানে পৌঁছে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দল পুলিশের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ও ইট-পাথর নিক্ষেপ করতে থাকে। একপর্যায়ে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে ২১ রাউন্ড শর্টগানের গুলি চালায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে সাত ডাকাতকে আটক করা হয়।

এদের মধ্যে মাথায় গুলিবিব্ধ অবস্থায় আল-আমিন ও এরশাদকে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেয়ার পর চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

এ ছাড়া অভিযানের সময় ডিবির এসআই (নি.) মোহাম্মদ শাহ কামাল আকন্দ পিপিএম, এসআই (নি.) মো. সহিদুল ইসলাম পিপিএম, কং রুবেল মজুমদার এবং কং মো. সুমন আহত হয়েছেন।

আটক অপর ডাকাতরা হলেন- জেলার সদর উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের মৃত আবুল হোসনের ছেলের আরঙ্গজেব (৫০), সদর দক্ষিণ উপজেলার মিলন (৩৫), একই উপজেলার নাছির (২৭), তিতাসের শরীফুল (২৯) এবং মুরাদনগর উপজেলার আবু মিয়া (৪০)।

ডিবি সূত্রে জানা গেছে, নিহত এরশাদের বিরুদ্ধে নয়টি এবং কাউসারের বিরুদ্ধে পাঁচটি ডাকাতি মামলা বিচারাধীন।এ ছাড়া আটককৃত ডাকাতদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ৩-৪টি করে মামলা রয়েছে।নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শুক্রবার সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে তিতাস থানায় পৃথক তিনটি মামলা করা হয়েছে বলে জানান শাহ কামাল আকন্দ।

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.