গুজব ঠেকানোর জন্য পুঁজিবাজারের বিদ্যমান আইন কঠোর করতে হবে :অর্থমন্ত্রী

1

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘এখন পুঁজিবাজার চালাচ্ছে রিউমার (গুজব)। এই গুজবের কারণেই পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না। আমি বাজারের বিভিন্ন এজেন্সিকে রিউমারগুলো চিহ্নিত করতে বলেছি। তারা দ্রুত গুজব সমস্যার সমাধান করবে। গুজব ঠেকানোর জন্য পুঁজিবাজারের বিদ্যমান আইন কঠোরভাবে কার্যকর করতে হবে। পাশাপাশি বিএসইসির আইনি দুর্বলতা রয়েছে, সেগুলো দূর করতে বলেছি। প্রয়োজনে নতুন আইন করতে বলেছি। নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যক্রম আরো কমপ্লায়েন্স করা হবে।’

গতকাল বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ে অর্থমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে ডিএসইর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল হাশেম, ভারপ্রাপ্ত এমডি আবদুল মতিন পাটোয়ারী, পরিচালক রকিবুর রহমান, শাকিল রিজভী বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘যেগুলো ভালো ও লাভজনক প্রতিষ্ঠান, সেগুলোকে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসব। আমি তাদের কথা দিয়েছি। কিন্তু কবে নাগাদ নিয়ে আসা হবে সেই দিন-ক্ষণ বলা সম্ভব নয়। যত দ্রুত সম্ভব নিয়ে আসা হবে।’

বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ডিএসই অগ্রিম আয়কর মওকুফ করতে বলেছে। আমরা বিষয়টি বিবেচনা করব।’

‘তাদের আরেকটা দাবি ছিল, এক্সেস টু ব্যাংকিং ফাইন্যান্স। যেমনিভাবে কোনো ক্লায়েন্ট ব্যাংকে গিয়ে টাকা ধার করতে পারে, ঠিক তেমনিভাবে পুঁজিবাজারে যারা ব্যবসা করেন, তারাও সেই সুযোগটা যেন পান। আমরা বলেছি, ব্যাংক ক্লায়েন্ট রিলেশনশিপের ভিত্তিতে অন্যরা যেভাবে ঋণ পায়, সুযোগ-সুবিধা পায়, পুঁজিবাজারে যারা ব্যবসা করেন, তাদের জন্যও সেই সুযোগ-সুবিধা থাকবে। সিকিউরিটি দিতে হবে। আমি তাদের বলেছি যে আমরা টাকার মূল্য কমাব না, এর কোনো প্রয়োজন নেই। আমাদের রেমিট্যান্স খাতেও বলা হচ্ছিল ডিভ্যালু করার জন্য। রেমিট্যান্স খাতে আমাদের ডিসেম্বর মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪০ শতাংশ। এক মাসে এক খাতে এত প্রবৃদ্ধি, এটা ইতিহাস। এটা আর কেউ ভাঙতে পারবে না। ২ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ায় এই সক্ষমতা অর্জন করেছি। সুতরাং কোনো খাতেই কারেন্সি ডিভ্যালু করার সম্ভাবনা নেই।’