সরওয়ার কামাল জামান, কক্সবাজার জেলা সংবাদদাতা: গত ০৬ মে রাতে পেকুয়া-চকোরিয়া মহাসড়কে এক নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ফেলে রেখেছিল কয়েকজন নরপিচাস।
ওই ধর্ষক ও হত্যাকারী নরপিশাচদের একজন জয়নাল (১৮) কে আটক করেছে র্যাব -১৫ এর সদস্যরা। জব্দ করা হয়েছে সেই সিএনজিও। র্যাবের একটি খুদে বার্তা থেকে এই তথ্য জানা গেছে। এই ঘটনায় জড়িত সাজ্জাদ হোসেন (৩০) নামের একজন হত্যাকারী নরপিচাশ পলাতক রয়েছে বলে জানানো হয়েছে ওই বার্তায়। তাকে ধরতেও অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে র্যাবের বিশেষ টিম।
শুক্রবার (৮ মে) বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ।
তিনি জানান, চট্টগ্রাম থেকে আসা ওই নারী পেকুয়া পর্যন্ত আসে। সেখান থেকে এক সিএনজি চালক তাকে চকরিয়া আনে। কিন্তু পুনরায় আবারো পেকুয়ার দিকে নিয়ে যায়। পথিমধ্যে একটি ব্রীজের সাইটে তাকে দুই সিএনজি চালক মিলে ধর্ষণ করে। এরপর তার সাথে কথা কাটাকাটি হলে তাকে চলন্ত গাড়ী থেকে ফেলে দেয়া হয়।
তিনি আরও জানান, ঘাতকরা এতো নৃশংসভাবে হত্যা করেছে যে চলন্ত গাড়ীর থেকে ফেলার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়ীটির সামনে ফেলে দেয় তারা। ওই গাড়ীর ধাক্কায় মৃত্যু হয় চম্পার। এঘটনায় জড়িত জয়নাল নামে এক সিএনজি চালককে আটক করা হয়েছে। অপরজনকে আটকে র্যাব-১৫ এর সদস্যরা অভিযান চালাচ্ছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (৬ মে) চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের খরুলিয়ার নয়াপাড়ায় নিজের বাড়িতে আসছিলেন ১৯ বছরের তরুণী চম্পা। রাতে সিএনজি করে আসার পথে সিএনজি চালক ও আরও দু’একজন মিলে তাকে ধর্ষণ করে গলা কেটে মৃতদেহ রাস্তায় ফেলে দেয়। এই ঘটনার একদিনের মাথায় হত্যাকান্ডের ঘটনা উদঘাটন করেছে র্যাব-১৫।