চিকিৎসার প্রয়োজনে চিকিৎসকরা কোনও সুপারিশ করলেই খালেদার মুক্তি বিবেচনাযোগ্য-ওবায়দুল কাদের

1

চিকিৎসকরা তার চিকিৎসার প্রয়োজনে কোনও সুপারিশ করলেই কেবল তা বিবেচনাযোগ্য। পরিবার বা দলের নেতাদের কথায় দণ্ডিত আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না । যেহেতু মানবিক কারণ বা চিকিৎসার জন্য তার জামিন আবেদন আদালত একাধিকবার নাকচ করে দিয়েছে, তাই পরিবারের আবেদনে বা মানবিক কারণে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার সুযোগ নেই।

গতকাল আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে  আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়া দন্ডিত হয়ে কারাগারে আছেন। আদালত তার জামিন আবেদন একাধিকবার নাকচ করেছেন। এখন পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবিক কারণে চিকিৎসার্থে তার মুক্তি চেয়ে যে আবেদন করা হয়েছে তার মূল্য নেই। কেননা খালেদা জিয়ার বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা প্রয়োজন একথা শুধু তার দলের নেতা বা পরিবারের লোকজন বলছেন।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসকরা সে কথা বলছেন না। তাই স্বভাবতই দল বা পরিবারের কথায় তার জামিন বা মুক্তির সুযোগ নেই। এসময় করোনা ভাইরাস ইস্যুতে ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা মোকাবিলায় সরকার প্রস্তুত। এ ভাইরাস প্রতিরোধে সব ধরনের সতর্কতা ও প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে অনুযায়ী রাজধানী ঢাকার সব হাসপাতালে প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জেলা-উপজেলার হাসপাতালগুলোও প্রস্তুত রয়েছে। করোনা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে করণীয় আছে। তা হলো সতর্ক থাকা, যেখানে-সেখানে ময়লা না ফেলা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। দেশে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর যারা মাস্ক, হ্যান্ডওয়াশের কৃত্রিম সংকট তৈরি করার চেষ্টা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান অভিযান শুরু করেছে যা আরও জোরদার করা হবে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জানান, জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই জনসমাগম এড়াতে মুজিববর্ষের কর্মসূচি পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। বিদেশি অতিথিরা আসবেন বলে যারা এ নিয়ে রাজনীতি করছেন তা সঠিক নয়। খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে মুজিববর্ষ সফল হবে না বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের বিষয়ে ওবায়দুল কাদেরের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে দন্ডিত হয়ে কারাগারে আছেন। তিনি কারাগারে থাকলে মুজিববর্ষ সফল হবে না, এমন কথা বালকসুলভ বক্তব্য। মুজিববর্ষের কর্মসূচি পুনর্বিন্যাস করায় কোনও রাজনীতি নেই, আছে জনকল্যাণের চিন্তা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, শাজাহান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ,উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ আরও অনেকে।