ছাত্রলীগ ছাড়া ডাকসু নির্বাচন বর্জন করলো বাকিরা

0

জালভোট, কেন্দ্র দখল ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে ছাত্রলীগ ছাড়া ডাকসু নির্বাচনে অংশ নেয়া সবকয়টি ছাত্র সংগঠনের প্যানেল নির্বাচন বর্জন করেছে। পুনঃভোটের দাবির পাশাপাশি মঙ্গলবার ক্যাম্পাসে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। এ সময় সব ক্লাস বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন তারা।

আজ সোমবার দুপুর ১টায় মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে বিভিন্ন সংগঠন ও প্যানেলের পক্ষ থেকে এই ডাকসু নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে ৪টি জোট। একইসঙ্গে তারা আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস বর্জনের ডাক দেয়। পরে মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় ছাত্রদল।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রহসন-জালিয়াতির এই নির্বাচন বাতিল করে পুনঃতফসিল ঘোষণা করতে হবে। হলে নয়, নতুনভাবে ভোট হতে হবে একাডেমিক ভবনে। সেই নির্বাচনে ব্যালটবাক্স হতে হবে স্বচ্ছ।

প্রগতিশীল বামজোট, ছাত্র ফেডারেশন ও কোটা আন্দোলনসহ বিভিন্ন পদের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষ থেকে ভোট প্রত্যাখ্যান করেন বামজোটের ভিপি প্রার্থী লিটন নন্দী। এ সময় অন্য প্যানেলের প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনের কোনও সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। প্রশাসন শুরু থেকেই ভোট কারচুপিতে যুক্ত হয়েছে। আমরা এ নির্বাচন বর্জন করছি।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে লিটন নন্দী হলে হলে ভোটগ্রহণের সময় বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরেন। কুয়েত-মৈত্রী হলে জালভোট মারা ব্যালট উদ্ধারের ঘটনায় তিনি নিন্দা জানান।
লিটন নন্দী বলেন, আমরা এই প্রহসন ও জালিয়াতির নির্বাচন ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। পাশাপাশি নতুন নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি। সেই নির্বাচনের নতুন পরিচালনা কমিটি গঠন, একাডেমিক ভবনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন এবং স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ভোটগ্রহণ করতে হবে।
পরে এসব দাবি নিয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন ভোট বর্জনকারীরা। ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরাও বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে তারা ভিসির বাসভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন।

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.