জেনে নিন ইফতারে ঠাণ্ডা পানি কেন খাবেন না

0

গরমের সারা দিন রোজা রাখায় সবারই অতিরিক্ত পিপাসা পেয়ে থাকে। প্রচণ্ড গরমে প্রশান্তির জন্য অনেকেই ঢকঢক করে ফ্রিজের বা বরফজমা ঠাণ্ডা পানি পান করে থাকেন। ইফতারের তৃষ্ণা মেটাতে উপকারি মনে হলেও, এতে অপকারই বেশি।

সারাদিন রোজা রাখার পর হঠাৎ মাত্রাতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি পান করলে শ্বাসনালীতে সমস্যা, রক্তনালী সংকুচিত হয়ে যাওয়া, হজম সমস্যা ও দাঁতের ক্ষতি হতে পারে। তাই ইফতারে খেজুর বা খুরমা বা সাধারণ তাপমাত্রার পানি দিয়ে ইফতার শুরু করতে পারেন।

ইফতার হোক বা অন্য কোনো সময় অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি কখনোই পান করা ঠিক নয়। ঠাণ্ডা পানি পানের এই অভ্যাস ডেকে আনতে পারে অনাকাঙ্খিত বিপদ।

ঠাণ্ডা পানি শরীরের পরিপাক রসের (গ্যাস্ট্রিক জুস) স্বাভাবিক কার্যকারিতায় বাধা দেয়। ঠাণ্ডা পানি পান করলে শরীর হজম প্রক্রিয়ার চেয়ে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ে। শরীরের শক্তি ক্ষয় হয়, যা স্বাভাবিক হজম প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করে।

গরমে ঠাণ্ডা পানি পানে অতিরিক্ত মিউকাস বা শ্লেষ্মার আস্তরণ তৈরি হয়ে শ্বাসপ্রশ্বাসে বাধা দিতে পারে। তখন নানা প্রদাহযুক্ত সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। শুধু গলাব্যথাই নয়, সর্দিও লাগতে পারে।

প্রচণ্ড গরমে হঠাৎ ঠাণ্ডা পানি পান করলে হৃৎস্পন্দন কমে যেতে পারে ।এটা কিন্তু মারাত্মক সমস্যা। প্রচণ্ড গরমে হঠাৎ ঠাণ্ডা পানি পান করলে হৃৎস্পন্দন কমে যেতে পারে।

হিমশীতল পানি শরীরে বড় ধরনের ধাক্কা দেয়। যার ফলে হজমে সমস্যার কারণে পেটব্যথা হতে পারে।

রোজা বাদে বছরের অন্য সময়গুলোতে যারা ব্যায়াম করনে, তারা ওয়ার্কআউটের পর সামান্য উষ্ণ পানি পান করবেন। কখনো ঠাণ্ডা পানি নয়।

ইফতারে সাধারণ তাপমাত্রার পানি পান করার সঙ্গে আরও পান করতে পারেন খেজুর-পেস্তার শরবত, মাল্টার জুস, শসা ও লেবুর শরবত, কলা-দুধের স্মুদি, কাঁচা আমের শরবত, পাকা আমের লাচ্ছি, তরমুজের শরবত, বেলের শরবত এবং ইসবগুল-তোকমার শরবত। এগুলোতে কিন্তু আবার ফ্রিজের বা বরফজমা ঠাণ্ডা পানি মেশাবেন না।

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.