টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাড়ছে নদ-নদীর পানি। গাইবান্ধা, লালমরিহাট, সুনামগঞ্জ কুড়িগ্রাম, ফেনী, খাগড়াছড়িসহ বেশ কিছু এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে মানুষ। প্লাবিত হয়েছে ফসলের ক্ষেত আর রাস্তাঘাট।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির কারণে গাইবান্ধার তিস্তা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্রসহ সবগুলো নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নদী তীরবর্তী এলাকা ও নিম্নাঞ্চলে পানি উঠেছে। চরাঞ্চলসহ আশেপাশের ফসলি জমি আর মাছের ঘের প্লাবিত হয়েছে।
প্রবল বৃষ্টি আর ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে বেড়েছে লালমনিরহাট জেলার প্রধান দুই নদী তিস্তা ও ধরলাসহ দশটি নদীর পানি। তিস্তার পানি বিপদ সীমার এক সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্লাবিত হয়েছে চর ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল। তলিয়ে গেছে ফসলের মাঠ, রাস্তা-ঘাট। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে দশ হাজারের বেশি পরিবার।
সুনামগঞ্জে টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীগুলোতে পানি বাড়ছে। সুনামগঞ্জ বিশ্বম্ভরপুর-তাহিরপুর উপজেলার সড়কের বেশ কিছু জায়গা তলিয়ে যাওয়ায় যান চলাচল ব্যহত হচ্ছে। পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় সুনামগঞ্জ থেকে তাহিরপুর উপজেলা পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার সড়ক পানির নিচে নিমজ্জিত হওয়া দুর্ভোগে ২ লক্ষাধিক মানুষ।
টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ফেনীর পরশুরাম, ফুলগাজীর মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে চার গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শালধর এলাকায় নদীর বাঁধ ভেঙে মালি পাথর, নীলক্ষ্মী, দেরপাড়া গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত থেকে মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার ১ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার ১ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
মুহুরী নদীর পানি ফুলগাজী বাজারের গার্ড ওয়ালের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাজারে প্রায় শতাধিক দোকানে পানি প্রবেশ করেছে।
খাগড়াছড়িতে টানা বৃষ্টি কারণে চেঙ্গী নদীর পানি উপচে নিচু এলাকাসমূহ প্লাবিত হয়েছে। জেলা সদরের মুসলিমপাড়া, গঞ্জপাড়া ও বটতলির নিচু এলাকায় পানি উঠতে থাকায় তীরবর্তী বাসিন্দাদের অনেকেই পানিবন্ধী হয়ে পড়েছেন। শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে আশ্রয় কেন্দ্রে। মাইনী নদীতেও বাড়ছে পানি।