লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে অভিবাসীবাহী নৌকা ডুবে নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি, সে সম্পর্কে সরকারের কাছে নিশ্চিত কোনো তথ্য নেই। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এ কথা জানিয়েছেন। আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
রেড ক্রিসেন্টের বরাত দিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তিউনিসিয়ার উপকূলের কাছে ভূমধ্যসাগরে অভিবাসীবাহী একটি নৌকা ডুবে যায়। এই নৌকাডুবিতে নিহত ৬০ জনের মধ্যে অধিকাংশই বাংলাদেশি।
তিউনিসিয়ায় রেড ক্রিসেন্টের কর্মকর্তা মঙ্গি স্লিম বলেন, নৌকাটিতে প্রায় ৭৫ জন আরোহী ছিলেন। তাঁদের সবাই পুরুষ। তাঁদের মধ্যে ৫১ জনই বাংলাদেশি।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, তিউনিসিয়ার জেলেরা নৌকার আরোহীদের মধ্যে ১৬ জনকে উদ্ধার করেন। তাঁদের মধ্যে ১ শিশুসহ ১৪ জন বাংলাদেশি।
দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাসের বরাত দিয়ে বলা হচ্ছে, এই নৌকাডুবিতে ৩৭ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ঘটনার বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাননি তিনি। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, উদ্ধার হওয়া ১৪ জনের সবাই বাংলাদেশি। যাঁদের এখনো পাওয়া যায়নি, তাঁদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি, সে বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য নেই। যেহেতু ৩৭ জনকে পাওয়া যাচ্ছে না, সে ক্ষেত্রে ৩০ থেকে ৩৫ জন মারা গেছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই ঘটনা জানার পর আজ সেখানকার দূতাবাস থেকে এক কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে চলে গেছেন। যাঁরা নিখোঁজ, তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। উদ্ধার হওয়ার ব্যক্তিদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হচ্ছে।
আবদুল মোমেন বলেন, লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গতকাল শনিবার যে বার্তা পাঠিয়েছেন, তাতে জানা যায়, ওই নৌকায় ৫১ জন বাংলাদেশি ছিলেন।