চট্টগ্রাম ৮ আসনের সংসদ সদস্য মঈন উদ্দিন খান বাদলের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) বোয়ালখালী উপজেলা কমিটি ।
পার্টির উপজেলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক কানাই দাশ ও সাধারণ সম্পাদক জামাল আবদুল নাসের এক বিবৃতিতে এ শোক জানান ।
দুই বছর আগে ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে গুরুতর অসুস্থ ছিলেন বাদল। হার্টেরও সমস্যা ছিল । দুই সপ্তাহ আগে নিয়মিত চেকআপের জন্য তাকে ভারতে নেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা ৪৫মিনিটে ভারতের বেঙ্গালুরুর নারায়ণ হৃদরোগ রিসার্চ ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বোয়ালখালীর সারোয়াতলী গ্রামে জন্ম মঈন উদ্দিন খান বাদলের। তার বাবা আহমদ উল্লাহ খান ও মা যতুমা খাতুন। স্ত্রী সেলিনা খান। তিন ছেলে ও এক মেয়ের জনক তিনি, বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।
চট্টগ্রাম-৮ ( বোয়ালখালী-চাঁন্দগাও) আসন থেকে মঈন উদ্দিন খান বাদল তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) একাংশের কার্যকরী সভাপতি ছিলেন তিনি।
ছাত্রজীবনে বাদল ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৭১ সালে অংশ নেন মুক্তিযুদ্ধে। তাদের মুজিব বাহিনী ভারতের জেনারেল সুজন সিংহবান এর অধীনে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। চট্টগ্রাম বন্দরে সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাসের সময় তিনি ছিলেন প্রতিরোধ যোদ্ধা।
মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে তিনি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলে যোগ দেন। এরপর যোগ দেন বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলে। জাসদ, বাসদ হয়ে পুনরায় জাসদে আসেন।
বিবৃতিতে কমিউনিস্ট পার্টি নেতৃবৃন্দ বলেন, চট্টগ্রাম বাসীর প্রানের দাবী কালুরঘাটে রেল কাম সড়ক সেতু নির্মানের দাবীতে এলাকায় ও সংসদে সোচ্চার ছিলেন তিনি । গত জাতীয় নির্বাচনের আগে এক বছরের মধ্যে সেতু নির্মানের দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে সংসদ থেকে পদত্যাগের ঘোষনা দেন তিনি । পদত্যাগের আগেই চিরজীবনের জন্য পদত্যাগ করে জনগনকে দেয়া ওয়াদা পালন করেছেন তিনি । কালুরঘাটে রেল কাম সড়ক সেতু বাস্তবায়ন হলে তাঁর আত্মা শান্তি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সিপিবি ।