বরাবর
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
বিষয় : কিন্ডারগার্টেন স্কুল সমুহ এবং এ-র শিক্ষক শিক্ষিকা বৃন্দের পরিবারের জন্য আর্থিক প্রণোদনা প্রদান প্রসঙ্গে ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
—————————-
স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দ্রষ্টা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সুযোগ্য কন্যা আপনি। আপনার দক্ষ নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় বর্তমানে সারাদেশে উন্নয়নের বন্যা দেখছে আপামর জনসাধারণ। আপনার এই সুদক্ষ নেতৃত্ব ও দেশ উন্নয়নে সর্বধা একাত্মতা প্রকাশ করে আসছে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল এন্ড কলেজ ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক পরিষদ।
দেশ বর্তমানে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত। করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হবার পর বিগত 16 মার্চ 2020 তারিখ থেকে সমস্ত স্কুল কলেজ বন্ধ ঘোষণার পর থেকে একই ঘোষণায় কিন্ডারগার্টেন স্কুল গুলোও বন্ধ ঘোষণা করা হয়, যা অদ্যাবধি বন্ধ রয়েছে ।
হে মহান দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী
————————————””’
এই স্কুলগুলি এবং এর শিক্ষকবৃন্দ অতি অল্প বেতন নিয়ে চাকরি করে থাকে এবং তারা টিউশনি করে পরিবার চালিয়ে তারা জাতির আগামী প্রজন্মকে আদর্শ পাঠ দানের মাধ্যমে আদর্শ ও সৎ মানুষ হিসেবে গড়ার কাজে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে স্কুল বন্ধ হয়ে যাবার কারণে এই শিক্ষক বৃন্দ না পাচ্ছে কোন বেতন ভাতা না করতে পারছে কোন টিউশনি । এমতাবস্থায় সামনে আসছে পবিত্র শবে বরাত আর মাহে রমজান মাস। এই রমজান মাসে অন্যান্য মাসের চাইতে দ্বিগুণ খরচের মাস। এহেন সংকট ও সমস্যার মুখোমুখি হয়ে বর্তমানে শিক্ষক পরিবার গুলি পথে বসার অবস্থা সৃষ্টি হবার মতো। এই শিক্ষকসমাজই আদর্শ ও শিক্ষিত জাতি গঠনের মূল কারিগর। অথচ আজ তারা অসহায়। এই অসহায় মানুষ গুলো না পারছে কারো কাছে চাইতে না পারছে সংসার চালাতে ।
হে জন দরদী প্রধানমন্ত্রী
—————————–”—-
16 মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণার পর করোনা ভাইরাস থেকে পরিবার ও সমাজ রক্ষার জন্য প্রত্যেক শিক্ষক নিজ নিজ বাসা বাড়িতে আবদ্ধ হন। কিন্ডারগার্টেন স্কুল গুলো পরদিন থেকে বন্ধ হওয়ার কারনে প্রায় 80% শিক্ষক শিক্ষিকার বেতন দেওয়া যায়নি। এই স্কুল গুলোর একমাত্র আয় শিক্ষার্থীদের মাসিক ফি। স্কুল সমুহ বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের ফি আদায়ও বন্ধ। এমতাবস্থায় স্কুল সমুহের ভবন ভাড়া ও অন্যান্য খরচ চলমান। এসব স্কুলের মাসিক আয় থেকে 50% অর্থ স্কুল গৃহের ভাড়া 45% অর্থ শিক্ষক কর্মচারীর বেতন এবং 5% অর্থ বিদ্যুত গ্যাস ও পানির বিলেই চলে যায়। অথচ বর্তমানে সব আয়ই বন্ধ। COVID-19 কারনে আপনি গার্মেন্টস মালিকদের ও শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এই মহানুভবতার জন্য আমরা আপনাকে অভিনন্দন জানাই। দেশে শিক্ষা বিস্তারে কিন্ডারগার্টেন স্কুল গুলো সরকারের সহায়ক শক্তি এবং এর সব শিক্ষক শিক্ষিকা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে শিক্ষিত জাতি গড়ার মত মহত কাজে লিপ্ত তারা আজ অসহায় এবং আর্থিক অনটনে দিশেহারা। আপনি কিন্ডারগার্টেন স্কুল সমুহ এবং এ-র শিক্ষক শিক্ষিকাবৃন্দ এবং তাদের পরিবার পরিজনদের কথা একটিবার চিন্তা করুন। তারা আজ কোথায় যাবে কি করবে?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
আপনি কিন্ডারগার্টেন স্কুলসমুহ এবং এই শিক্ষক সমাজের অভিভাবক। এই অসহায় শিক্ষক সমাজ এবং কিন্ডারগার্টেন স্কুল গুলোকে একটু মূল্যায়নের জন্য আপনার নিকট আমাদের আকুল আবেদন। অতএব মহোদয় আমরা আশা করি আপনার উদার মনের ছোঁয়া এই পনেরো লক্ষ শিক্ষক পরিবারকে আর্থিক দুর্দশা থেকে মুক্তির পথ দেখাবেন ইনশাআল্লাহ ।
পরিশেষে, মহান আল্লাহ পাক মুজিব শতবর্ষে আপনার দক্ষ নেতৃত্বকে আরো বেশি শক্তিশালী করুন এবং প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে আল্লাহ পাক করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত করে নিরাপদে রাখুন। আমীন।
নিবেদক
এস এম দিদারুল আলম : সভাপতি
মুহাম্মদ সাজেদ ইকবাল নির্বাহি সভাপতি
লুৎফর রহমান আলম
মহাসচিব
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল এন্ড কলেজ ঐক্য পরিষদ
ও
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক পরিষদ।