ইখতিয়ার উদ্দীন আজাদ, নওগাঁ : নওগাঁয় অবশেষ স্ত্রীর মর্যাদা পেল শাপলা সরকার। দুই দিন স্বামীর বাড়ীর সামনে আমরণ অনশন অবস্থানের পর উপজেলা প্রশাসক, ইউপি চেয়ারম্যান ও গ্রামবাসীর সহায়তায় স্বামীর ঘরে স্থান হলো তার। ঘর পেলেও স্বামীকে এখন পায়নি শাপলা সরকার।
জানা গেছে, জেলার ধামইরহাট উপজেলা ইসবপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত পোড়ানগর গোয়ালপাড়া গ্রামের বিনয় চন্দ্র মন্ডলের ছেলে পঙ্কজ কুমার মন্ডলের সাথে মুঠোফোনের মাধ্যমে শাপলা সরকারের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে বিগত ২০১৪ সালে ১৮ জুন এফিডেভিটমূলে তারা গোপনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
শাপলা সরকার দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার মৌপুকুর গ্রামের বাবলু সরকারের মেয়ে।
শাপলা সরকার বলেন, দির্ঘদিন ধরে পঙ্কজের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে আমরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। কিন্ত বিবাহের পর থেকে আমার স্বামী আমার কোন খোঁজ খবর রাখেননি। বিষয়টি নিয়ে একাধিক বার দুই পরিবারে মাঝে বৈঠক বসলেও কোন সমাধান হয়নি। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বামীর বাড়ীতে আসি। কিন্তু স্বামীর পরিবারের লোকজন বাড়ীতে আমাকে ঢুকতে দেয়নি। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এবং ওই গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহায়তা স্বামীর বাড়িতে প্রবেশ করি। বর্তমানে আমার শ্বশুড় ও শাশুড়ী বিষয়টি মেনে নিয়েছে। কিন্তু আমার স্বামী একটি এনজিওতে চাকুরী করায় সুবাধে অন্যত্র রয়েছে। বিষয়টি জানতে পেয়ে তার মুঠোফোন বন্ধ করে রেখেছে।
শাপলা সরকারের শ্বশুড় বিনয় চন্দ্র মন্ডল বলেন, আমার ছেলে বাড়ীতে না থাকার পরও মেয়েটি জোর করে ঘরে প্রবেশের চেষ্টা করে। আমার ছেলে যেহেতু এ সম্পর্ক মানে না তাই তাকে আশ্রয় দেয়ার প্রশ্ন ওঠে না। মেয়েটি কৌশলে জোর করে আমার ছেলেকে ফাঁসিয়েছে। এ বিষয়ে আদালতে আমার ছেলে মেয়েটির বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করেছে। যা চলমান রয়েছে। তারপরও আমরা বিষয়টি মেনে নিয়েছি। কিন্তু মেয়ের কোন অভিভাবক না আসায় আমরা মর্মাহত হয়েছি।
ইসবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েশ বাদল বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার গণপতি রায়ের সহযোগিতায় বিয়ষটি নিয়ে শালিস বৈঠকে অনুষ্ঠিত। অবশেষে গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গ্রামবাসীর সহায়তায় ওই মেয়েকে তার শ্বশুড়ের হাতে তুলে দেয়া হয়।
1 Comment
Pingback: মুঠোফোনে প্রেম-আমরণ অনশন, অতঃপর…স্ত্রীর অধিকার পেল শাপলা সরকার! - BD24Time