লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ ভারতে প্রবেশ ঠেকাতে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশনকে যাত্রী না পাঠাতে চিঠি পাঠিয়েছে ভারতীয় চ্যাংরাবান্ধা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার (১৩ মার্চ) বিকেল ৫ টার পরে কোন যাত্রী গ্রহন করবে না ভারত।
শুক্রবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ উপ পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন।
একই দিন সকালে বুড়িমারী ইমিগ্রেশনকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠায় ভারতীয় চ্যাংরাবান্ধা ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ নার্জিনারী।
বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ উপ পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন জানান, বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস আতংকে ভারত সরকার তাদের দেশে প্রবেশ ঠেকাতে প্রায় সকল ধরনের ভিসা বন্ধ করেছে। সাম্প্রতি সময় ভারতে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুতে কড়াকড়ি আরোপ করেছে দেশটির সরকার। একই কারনে এর আগে আখাউড়া চেকপোস্ট বন্ধ করে দেয়া হয়। শুক্রবার (১৩ মার্চ) সকালে চিঠি পাঠিয়ে একই দিন বিকেল ৫টা পর থেকে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের ভারতে না পাঠাতে বুড়িমারী ইমিগ্রশনকে আহবান জানান ভারতের চ্যাংরাবান্ধা ইমিগ্রেশন ইনচার্জ নার্জিনারী। তবে ভারতীয় কোন নাগরিক তার দেশে প্রবেশ করতে চাইলে তারা যেতে পারবেন। তবে অন্যদেশের কোন নাগরিককে চ্যাংরাবান্ধা ইমিগ্রেশন গ্রহন করবে না।
এ কারনে শনিবার (১৪ মার্চ) থেকে বুড়িমারী ইমিগ্রেশন হয়ে ভারতে প্রবেশ করতে পারছে না ভারতীয় ছাড়া অন্যকোন পাসপোর্টধারী। জরুরী কাজে ভারত যেতে চাইলে অবশ্যই শুক্রবার বিকেল ৫টার মধ্যে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তি নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত শনিবার (১৪মার্চ) সকাল থেকে বুড়িমারী চেকপোস্ট হয়ে কেউ ভারতে প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে ভারতে থাকা বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রীরা এ পথ হয়ে দেশে ফিরতে পারবেন।
ভারত, ভুটান ও নেপালের সাথে ত্রি-দেশীয় বাণিজ্যিক প্রবেশ পথ বুড়িমারী স্থলবন্দর হয়ে প্রতিদিন অর্ধসহ¯্রাধিক পাসপোর্টধারী যাত্রীর যাতায়ত। যার বেশির ভাগই চিকিৎসা আর ভ্রমন ভিসায়। ভারতীয়দের পাশাপাশি ভুটান ও নেপালের যাত্রীরাও এ ইমিগ্রেশন ব্যবহার করেন।
করোনা ভাইরাস আতংকে এ সংখ্যা দেড়/দুই শতে নেমে এসেছে। দিনদিন কমে যাচ্ছিল যাত্রীদের চাপ। অবশেষে সংক্রিন্ন হচ্ছে এ ইমিগ্রেশন।
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা বলেন, ভারত সরকারে সিদ্ধান্তে তাদের চ্যাংরাবান্ধা ইমিগ্রেশন ভারতীয় ছাড়া অন্যকোন পাসপোর্টধারীকে গ্রহন করবে না বলে বুড়িমারী ইমিগ্রেশনকে জানিয়েছে। তারা গ্রহন না করলে শুক্রবার বিকেল ৫টার পর থেকে আমরা ভারতীয় ছাড়া অন্যপাসপোর্টের যাত্রী পাঠাবো না।