রশিদ খানকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই: মোসাদ্দেক

0

বাংলাদেশ জাতীয় দলের তরুণ অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত বলেছেন, ‘আমরা রশিদ খানকে ভয় পাই এ কথা কখনই বলিনি। এখানে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। রশিদ খান চোট পেয়েছিল, চোট থেকে ফিরে উইকেটও নিয়েছেন। হয়ত ইনজুরিতে না পরলে আরেকটু ভালো বোলিং করতে পারতেন।’
শনিবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৩৯ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১ ওভার হাতে রেখে চার উইকেটের জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। খেলা শেষে সৈকত বলেন, ‘আসলে বোলিংয়ে ৪-৫ ওভার যাওয়ার পর বুঝলাম এটা চট্টগ্রামের সহজাত উইকেটের মতো নয়। উইকেটে স্পিন গ্রিপ করছিল। রান করা কঠিন ছিল। ব্যাটিং করছিলাম তখন বুঝছিলাম যে রান করা আরও কঠিন।’

১২ রানে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে চাপের মধ্যে পড়ে যাওয়া দলকে টেনে তুলেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। তৃতীয় উইকেটে তারা ৫৮ রানের জুটি গড়েন। এরপর ৩৪ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে পরাজয়ের দুশ্চিন্তায় পড়েছিল টাইগাররা।

ইনিংসের শেষ দিকে টাইগারদের জয়ের ১৮ বলে প্রয়োজন ছিল ২৭ রান। তখনও দুই ওভার বোলিং করা বাকি ছিল রশিদ খানের। বিশ্বের অন্যতম সেরা এ লেগ স্পিনারের ওভারে রান করা মোটেও সহজ ব্যাপার নয়। নিজের প্রথম দুই ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন আফগান এ অধিনায়ক।

১৮তম ওভারে রশিদ খানের বলে রীতিমতো ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে ১৮ রান আদায় করে নেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও সাকিব আল হাসান।

ওই ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারি হাঁকান সৈকত। পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে সাকিবে স্টাইক দেন তিনি। তৃতীয় বলে সাকিব ডাবল রান নেন। চতুর্থ চার আর পঞ্চম বলে রশিদ খানকে ছক্কা হাঁকান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।

ম্যাচ শেষে রশিদ খানের ওই ওভারে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করা প্রসঙ্গে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত বলেন, ‘আসলে এটা ক্রিকেট খেলা। একটা ওভারে আমাদের চড়াও হতেই হত। আমরা রানের দিকে চোখ রেখে ব্যাটিং করেছি। কে বল করছে সেদিকে নজর না দিয়ে, বলের দিকেই খেয়াল রেখেছি।’

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.