আজ শুরু হচ্ছে নতুন বই বিতরণ কার্যক্রম

0

আজ থেকে শুরু হচ্ছে নতুন বই বিতরণ কার্যক্রম । করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এ বছরও বই উৎসব হচ্ছে না। শনিবার (১ জানুয়ারি) থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া হবে।

এবারের শিক্ষাবর্ষে ৪ কোটি ১৭ লাখ ২৬ হাজার ৮৫৬ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ৩৪ কোটি ৭০ লাখ ২২ হাজার ১৩০ কপি পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেইল পদ্ধতিতে পাঠ্যপুস্তক ও ৫টি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাতৃভাষায় মুদ্রিত পাঠ্যপুস্তকও রয়েছে। তবে, এ বছরের প্রথমদিনে সব শিক্ষার্থীকে বই দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। পর্যায়ক্রমে নতুন বই পাবে শিক্ষার্থীরা ।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসএসসির ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরই ‘পাঠ্যপুস্তক উৎসব’ উদ্বোধন করেন।

এ সময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, নতুন বছরের ৯৫ শতাংশ বই তৈরি হয়েছে। ইতোমধ্যে সেগুলো বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। বাকি ৫ শতাংশ বই জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে স্কুলগুলোতে পৌঁছে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, মোট প্রায় ৩৮ কোটি বইয়ের মধ্যে মাধ্যমিকের ২১ কোটি বই মুদ্রণ ও বাঁধাই করা হয়েছে। বাকি ১৭ কোটির বেশি বই দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করা হয়েছে। অবশিষ্ট বই শিগগিরই স্কুল পর্যায়ে পাঠানো হবে।

২০১২ সাল থেকে বর্তমান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বই বিতরণ উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিচ্ছে। এই কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় সারাদেশে একযোগে বছরের প্রথম দিন ১ জানুয়ারি শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট দফতরসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারির উপস্থিতিতে উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে বই বিতরণ উদযাপিত হয়ে আসছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ২০২১ সালে বই উৎসবকে কেন্দ্র করে বর্ণিলভাবে সাজানো হলেও বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে সেটি সম্ভব হয়নি। তবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মাধ্যমে, সফলভাবে পহেলা জানুয়ারি ৯ কোটি ৩৭ লাখ ৭৫ হাজার ৮৯৩টি বই শিক্ষকদের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছে।

২০২২ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক স্তরে ৯ কোটি ৩০ লাখ ৩৪ হাজার ৩০টি, প্রাক-প্রাথমিক স্তরে ৬৬ লাখ ৫ হাজার ৪৮০টি, ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর জন্য ২ লাখ ১৯ হাজার ৩৬৪ টিসহ মোট ৯ কোটি ৯৮ লাখ ৫৮ হাজার ৮৭৪টি বই শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হবে। প্রাক -প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যপুস্তক-পঠন-পাঠন সামগ্রীর মধ্যে আমার বই এবং অনুশীলন খাতা বিতরণ করা হবে যথাক্রমে ৩৩ লাখ ২ হাজার ৭৪০টি।

এছাড়া ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর শিশুদের জন্য নিজস্ব বর্ণমালা সম্বলিত মাতৃভাষায় প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির পঠন-পাঠন সামগ্রী এবং প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই প্রণয়ন এবং সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ২০২২ শিক্ষাবর্ষে ৫টি ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী (চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও সাদরী) শিশুদের মাঝে প্রাক-প্রাথমিক এবং প্রাথমিক পর্যায়ে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হচ্ছে।

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পাঠ্যপুস্তক বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, শেরপুর, নেত্রকোণা, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, নঁওগা, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর, জয়পুরহাট, চাঁদপুর, ফেনী, কক্সবাজার, সুনামগঞ্জ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ এই মোট ২০ টি জে

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.